
ইসরায়েলি সামরিক বাহিনী জানিয়েছে, গাজা নগরীতে গাড়িতে হামলা চালিয়ে হামাসের জ্যেষ্ঠ কমান্ডার রায়েদ সাঈদকে হত্যা করেছে তারা। এক যৌথ বিবৃতিতে ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু ও প্রতিরক্ষামন্ত্রী ইসরায়েল কার্টজ বলেন, শনিবার (১৩ ডিসেম্বর) হামাসের এক হামলায় বিস্ফোরক ডিভাইসের আঘাতে দুই ইসরায়েলি সেনা আহত হয়। এর জবাবে সাঈদকে লক্ষ্য করে হামলাটি চালানো হয়। ব্রিটিশ বার্তা সংস্থা রয়টার্স এ খবর জানিয়েছে।
অবশ্য হামাসের পক্ষ থেকে তাৎক্ষণিকভাবে এ খবরের সত্যতা নিশ্চিত করা হয়নি।
ইসরায়েলের ভাষ্য অনুযায়ী, ২০২৩ সালের ৭ অক্টোবর ইসরায়েলে চালানো হামলার অন্যতম পরিকল্পনাকারী ছিলেন সাঈদ।
অক্টোবরে গাজায় যুদ্ধবিরতি কার্যকর হওয়ার পর থেকে হামাসের কোনও শীর্ষ নেতাকে লক্ষ্য করে এটি ছিল সবচেয়ে আলোচিত হত্যাকাণ্ড।
গাজা নগরীতে গাড়িটিতে চালানো ওই হামলায় পাঁচজন নিহত এবং অন্তত ২৫ জন আহত হয়েছেন বলে জানিয়েছে গাজার স্বাস্থ্য কর্তৃপক্ষ।
তবে এই হামলাকে ‘ভঙ্গুর যুদ্ধবিরতি নস্যাৎ করার অপচেষ্টা’ হিসেবে উল্লেখ করে এর তীব্র নিন্দা জানিয়েছে হামাস।
অবশ্য নেতানিয়াহুর দপ্তরের বিবৃতিতে হামলায় সাদ নিহত হয়েছেন কি না, তা উল্লেখ করা হয়নি। তবে ইসরায়েলের বিভিন্ন গণমাধ্যম তাঁর নিহত হওয়ার খবর দিচ্ছে।
পরে ইসরায়েলি সেনাবাহিনী এক বিবৃতিতে রায়েদ সাঈদকে হত্যার বিষয়টি নিশ্চিত করেছে।
এক ইসরায়েলি সামরিক কর্মকর্তা সাঈদকে হামাসের উচ্চপর্যায়ের সদস্য হিসেবে বর্ণনা করে বলেন, তিনি সংগঠনটির অস্ত্র উৎপাদন নেটওয়ার্ক গড়ে তোলা ও এগিয়ে নেওয়ার ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখেছিলেন।
কর্মকর্তাটির দাবি, “সাম্প্রতিক মাসগুলোতে সাঈদ হামাসের সক্ষমতা ও অস্ত্র উৎপাদন পুনর্গঠনে কাজ করছিলেন, যা যুদ্ধবিরতি চুক্তির স্পষ্ট লঙ্ঘন।”
হামাস-সংশ্লিষ্ট সূত্রগুলোও তাকে ইজ্ আল-দিন আল-হাদাদের পর সংগঠনটির সশস্ত্র শাখার দ্বিতীয় শীর্ষ নেতা হিসেবে উল্লেখ করেছে।
সূত্রগুলোর মতে, সাঈদ আগে হামাসের গাজা সিটি ব্যাটালিয়নের প্রধান ছিলেন, যা সংগঠনটির অন্যতম বৃহৎ ও সবচেয়ে সুসজ্জিত ইউনিট।
হামাস এক বিবৃতিতে হামলাটিকে যুদ্ধবিরতি চুক্তির লঙ্ঘন হিসেবে নিন্দা জানিয়েছে। তবে সাঈদ আহত হয়েছেন কি না সে বিষয়ে কিছু জানায়নি এবং প্রতিশোধের হুমকিও দেয়নি।